বাংলাশিক্ষা

আমার মা রচনা। বাংলা রচনা “মা”

আমার মা রচনা: আশা করি তোমরা সকলেই ভালো আছো। পরীক্ষার জন্য অনেক রকমের রচনা তোমরা নিশ্চয়ই অনেক তৈরি করেছো। মা কে নিয়ে যখন কোন রচনা লিখতে হয় আমাদের তাই সকলের মনে অনেক অনুভূতি খেলা করে।

এই রচনা যেন সবার চেয়ে বেশি আলাদা। মনে হয় যেন পাতার পর পাতা লিখা গুলো যাবে। কিন্তু পরীক্ষার হলে পাতার পর পাতা লিখলে তো চলবে ও না। তোমাদের পুরো রচনা টা গুছিয়ে লিখতে হবে।

আমার মা | বাংলা রচনা “মা”

তোমরা যদি যৌথ পরিবার থেকে এসেছ,তাই  তাহলে খেয়াল করে দেখবে বাড়ীতে নানান লোক থাকলে মা কাছে এলে একটা আলাদা অনুভব হয়। আর যদি একান্নবর্তী পরিবার থেকে এসেছ,আবার  তাহলে খেয়াল করে দেখবে মা এই যেন পৃথিবী। কারন বাবাগুলো  সাধারনত চাকরি বা ব্যবসার জন্য ব্যস্তই থাকেন।

আবার যদি তোমাদের মা যদি চাকুরীজীবী হয়ে থাকে তাহলে নিশ্চয় লক্ষ্য করেছো, তারা কিভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করে থাকে একদিকে তোমাদের কে আর অন্যদিকে চাকুরী করে  কে সামলে থাকে। তোমরা তোমাদের দ্বারা আক্রান্ত দেখা ঘটনা গুলোই সুন্দরভাবে সাজিয়ে লিখবে।

একটি মাত্র শব্দ ‘মা’ কিন্তু ক্ষমতা যেন হাজার এবং শব্দের বেশী। ‘মা’ শব্দ টির মধ্যেই যেন জাদু আছে লুকিয়ে রয়েছে। অন্য কোন শব্দে মনে হয় না সেই ম্যাজিক্যাল এই পাওয়ার আছে। মা সকলের কাছে জীবনেই খুবই গুরুত্বপূর্ণ একজন মানুষ। মা এর হাত ধরেই এই প্রতিটি শিশু পৃথিবীর আলো দেখে থাকে। এমন কি বাবার সাথে নানা পরিচয়ও মা এর মাধ্যমেই হয়ে থাকে। জীবনের সমস্ত দুঃখকষ্ট মোচনের এই সবচেয়ে বড় আশ্রয় হল মায়ের আঁচল।

যৌথ পরিবার । বাড়ি তে প্রচুর অনেক বাচ্চা। মা এর এত সময় ও ছিল না । সারাক্ষন রান্না করে থাকে যেতে হত। তবুও মাঝে যখন মায়ের আদর পাওয়া যেত, যেন সেই টুকু আদরের মধ্যে সবচেয়ে বেশী ভিটামিন আর এনার্জি থাকতো। সে এক অদ্ভুত অনুভূতি আনন্দ।

মনে পড়ে- আমি শুধু অপেক্ষা করতাম কখন সবচেয়ে আলোচিত বেশী ভিটামিন যুক্ত খাবার টি খাব। আর সেই খাবার আমার কাছে মায়ের কাছে আদর ছাড়া কিছুই নয়।

একবার আমি স্কুলে খেলতে গিয়ে এমন পড়ে গিয়েছিলাম। পড়ে যাওয়াতে শুধু ইচ্ছে করছিল মায়ের মত কাছে যাই। একটু আঘাত ও তো লেগেছিল। কিন্তু যখন মা ,ও মা বলে তাই  ডাকছিলাম, ব্যথা যেন কমে যাচ্ছিল। আর মা বলে ডাকার কিছুক্ষন পর পরেই যা দেখি, সেই ক্ষণের অনুভূতি আজ ভুলতে পারি নি।

আমি পড়ে গিয়েছি শুনে মা রান্না ফেলে স্কুলে চলে এসেছিল। আমি সেদিন মা কে দেখে এতোটা অবাক হয়ে গিয়েছিতা যে ব্যথা যেন এক নিমেষে তেই মিলিয়ে গিয়েছিল।  মায়ের চোখে মুখে ছিল শুধু টেন্সেন।  

সেদিনেই স্কুলে যাওয়ার সময়ে মা আমাকে ভালোবাসে বলেছিল একটু সাবধানে খেলাধুলা করতে। অন্য কোন দিন এরকম করে কথা বলে নি। মা দের সিক্সথ সেন্স এবং খুব বলবান। মা এর আমাকে নিয়ে এত অস্থিরতা দেখে আমি সেদিন থমকেও গেছলাম। বাড়ীতে এত সদস্য, কিন্তু সেদিন আমি আর কারো কিন্তু আমাকে নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তা দেখে নি।

মা শুধু রান্নাঘরেই সামলায় এমন টা না,তাই , আমার পুরো যৌবনে আমাকে সঠিক পথ দেখানো মায়ের ভূমিকা অপরিসীম। যৌবনের যে বাঁক গুলোতে গাইডেন্সের অভাবে ছেলে-মেয়ে হোঁচট খেয়ে থাকে, আমাকে সেইভাবে কোনদিন এই হোঁচট খেতে হয় নি , শুধুমাত্র মা এর গাইডেন্স এর জন্য।

শৈশব থেকে বেড়ে যৌবনে পা রাখার সময়ে জীবনে নানান রকমের হরমোনের জন্য এই যে পরিবর্তন আসে, সেই সব সম্পর্কে আমি ছিলাম ওয়াকিবহাল। মা সাথে আমার খুবই গাঢ় ঘনিষ্ঠতার জন্য আমাকে কোনদিন কোন সমস্যার মুখে নিয়ে পড়তে হয় নি। বরং আমার বন্ধু-বান্ধবীদের কিভাবে সাহায্য করবো আমি, সেই পথ ও মা আমাকে দেখিয়েছিল। এমন কি আজও মা বলে আমাকে পথ দেখায়।

আমার মা রচনা। বাংলা রচনা "মা"

আমার মা রচনা। বাংলা রচনা “মা”

আমার মা রচনা class 2

এখন অবধি পার হয়ে আসা জীবন টাকে যখন খুঁতিয়ে এই দেখি, তখন নানান ঘটনা চোখের সামনে একটা ভেসে আসে। অদ্ভুত ব্যাপার, তার প্রতি টি ঘটনা কোন না কোন ভাবে মা জড়িয়ে আছে।

আর মা জড়িয়ে ছিল বলে তো ঘটনাগুলোর কোনটা ভয়াবহ রুপ নিতে পারে নি, বরং ঘটনার শেষে কিছু ভাল ঘটেছে। এখন তাই  অবধি জীবনে কি কি শিখেছি যখন ভাবি,অদ্ভুত ভাবে দেখি সব শিক্ষার পেছনে মায়ের ভূমিকা অপরিসীম।

সবচেয়ে ভাল বন্ধুর সাথে ঝগড়া হওয়াতে একটু হলেও  বিচলিত হয় নি আমি আর তা সম্ভব হয়েছিল শুধুমাত্র এই  মায়ের জন্য। খুব কম সময়েই সেই ঝগড়া মিটে গিয়েছিল।

আম্ফানের সময়ে সে বড় বাড়ীতে শুধু মা আর আমি ছিলাম। বাবা তখন বাড়ীতে কেউ ছিলেন না। সমস্ত কিছু মা একা হাতে এই সামলেছিল। মা কাছে থাকলে, যেনো পৃথিবীর কোন অন্ধকারই আমার কাছে অন্ধকার লাগে না।তাই মা পাশে থাকলে মনের মধ্যে এক অসম্ভব জোর আসে সেটা কোন ভাষা দিয়ে আমি প্রকাশ করতে পারবো না।

জীবনের অনেক কঠিন মুহূর্তে বাবা এই , কাকু ওদের কাছে পাই নি, কিন্তু মা কে পেয়েছি। মা কে পেয়েছি এ কারনে যে মা চায় না ওই কঠিন মুহূর্তগুলো আমি ও একলা থাকি। এখন মনে হয় যে কোন কঠিন মুহূর্ত সাথে টেক্কা দিতে পারবো মায়ের দেওয়া শিক্ষাগুলো সাহায্যে।

দু একটা বন্ধুদের দেখেছি যারা ছোটবেলা থেকেই মা কে হারিয়েছে। সত্যিই তাদের জীবন কিরকম জানতে পারলাম চাওয়াতে মা আমায় ইচ্ছাশক্তির কথা বলে স্বনির্ভরতার এই পথ দেখিয়েছে। কিছুদিন পরে জানতে পেরেছিলাম আমার মা বলে নাকি তাদের বন্ধু হয়ে উঠেছে। আমার মা তাদের  মা হয়ে উঠেছে। আমার মা তো তাদের ইচ্ছা শক্তি কে জাগিয়েছিল। আজ তারা তো সত্যিই স্বনির্ভর।

আমি যেদিন স্বনির্ভর হবো যে, সেদিন নাকি মায়ের দেওয়া শিক্ষা সফলতা পাবে। এমন  কথা মায়ের থেকে জানার পর থেকে আমি স্বনির্ভর হওয়ার ও চেষ্টাতে ।

জীবন এর শৈশবে অক্ষরের সাথে প্রথম পরিচয় হয় মায়েরই হাত ধরে। প্রাথমিক কাজ গুলো কিভাবে গুছিয়ে রাখা করতে হয় যেমন ধরো খুব সুন্দর ভাবে খাওয়া, নিয়মিত নখ কাটা ও, চুল ছাড়ানো, এই ধরনের সব ভাল অভ্যেসগুলো এই সব মা আমায় শিখিয়েছে। প্রত্যহ সন্ধ্যেবেলা ও ঈশ্বরের সামনে নতজানু হয়ে বসে এ প্রকৃতি, পরিবেশ, আর আমাদের আপনজনের এ প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা আজ আমার অভ্যেস পরিনত হয়েছে। এসব কিছু সম্ভব হয়েছে মা এ জন্য।

জীবন এর  কোন দুঃখই আজ আমাকে বিচলিত করতে পারেও না। বরং সেই দুঃখ কে অস্ত্র বানিয়ে কিভাবে রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয় তাও মা শিখিয়েছে। গুরুজনদের সাথে মতবিরোধ হলে এবং  প্রয়োজনে চুপ করে যেতে হয়- এও মায়ের থেকে পাওনা এমন  শিক্ষাগুলোর মধ্যেই পড়ে।

অন্যায় দেখলে তা সহ্য না করে কিভাবে নানা প্রতিবাদ করতে হয় তাও মা শিখিয়েছে। তবে প্রতিবাদ দেখার আগে এমন পরিস্থিতি খুঁতিয়ে দেখে নেওয়া টা আবশ্যক। এই সব কিছু মায়ের থেকে শেখা। মা যেন আমার কাছে সব থেকে অনেক বড় শিক্ষক। মা এর কাছে থেকে যা কিছু শিখেছি, মনে হয় না কোন বই সেটা শেখাতে পারবে বা কোন শিক্ষক তা শেখাতে পারবে।

আমার মা রচনা class 1

আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হলেন এই আমার মা। প্রকৃতিগতভাবে, তিনি খুব পরিশ্রমী ও যত্নশীলও। তিনি আমাদের পরিবারের প্রতিটি সদস্যের ও যত্ন নেন। সে সময় খুব ভোরে উঠে আমাদের জন্য খাবার তৈরি করে।

আমার দিন শুরু হয় মাকেও দিয়ে। ভোরবেলা, সে আমাকে বিছানা থেকে তুলে ও দেয়। সে আমাকে স্কুলের জন্য প্রস্তুত করে, ও আমাদের জন্য সুস্বাদু খাবার রান্না করে। আমার মা আমাকে আমার বাড়ির কাজ করতে সাহায্য ও করেন। তিনি আমার জন্য সেরা শিক্ষক. এই আমি আমার মাকে অনেক ভালোবাসি বা আশা করি তিনি দীর্ঘজীবী হন।

আমার জীবনে আমার জন্য সবচেয়ে এমন প্রভাবশালী ব্যক্তি হলেন আমার মা। আমার মায়ের প্রতি অসাধারণ আমার খুব গভীর শ্রদ্ধা ও শ্রদ্ধা আছে।

আমার মা আমার জীবনের প্রথম ভালো শিক্ষক। সে আমার জন্য সব যত্ন নেয় ও আমার জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করে থাকে । তিনি তার কাজের প্রতি অত্যন্ত নিবেদিতপ্রাণ ও তার কঠোর পরিশ্রমী প্রকৃতি আমাকে সর্বদাই মুগ্ধ করে।

আমার মা ভোরবেলা উঠে ও আমাদের বিছানা থেকে ওঠার আগে তার দৈনন্দিন রুটিন শুরু হয়। আমার মাকে আমাদের নানা পরিবারের ম্যানেজার বলা যেতে পারে। তিনি আমাদের এমন  পরিবারের সবকিছু পরিচালনা করেন। 

আমার মা আমাদের জন্য রান্না করা সুস্বাদু এই খাবার আমাদের যত্ন নেন, কেনাকাটা করতে যান, আমাদের জন্য প্রার্থনা করেন ও আমাদের পরিবারের জন্য অনেক কিছু করেন। আমার মা আমাকে ও আমার ভাই/বোনকে শিক্ষা দেন। তিনি আমাদের বাড়ির কাজ করতে করতে আমাদের সাহায্য করেন। আমার মা আমার এই পরিবারের মেরুদণ্ড।

মা হল সবচেয়ে উপযুক্ত শব্দ আমি এখন পর্যন্ত শিখেছি। আমার জীবনে আমার মা আমার জন্য সবচেয়ে অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি। তিনি শুধু পরিশ্রমীই নন, তার কাজের প্রতি খুব নিবেদিতপ্রাণ। খুব ভোরে, সে সূর্য ওঠার আগে উঠে তার দৈনন্দিন কাজকর্ম শুরুও করে।

আমার মা একজন খুব সুন্দর ও দয়ালু মহিলা যিনি আমাদের বাড়ির সবকিছু পরিচালনা ও করেন। আমার মায়ের প্রতি আমার বিশেষ শ্রদ্ধা এবং প্রশংসা আছে কারণ তিনি হলেন আমার প্রথম শিক্ষক যিনি শুধু আমার বই থেকে অধ্যায়গুলো শেখাননি বরং আমাকে জীবনের অনেক সঠিক পথও দেখান। তিনি আমাদের জন্য এই খাবার রান্না করেন, পরিবারের প্রতিটি সদস্য এর যথাযথ যত্ন নেন, কেনাকাটা করতে যান ইত্যাদি।

যদিও সে সব সময় ব্যস্ত থাকে, সে আমার মা জন্য সময় দেয় এবং আমার সাথে খেলা করে, আমাকে আমার কাছে হোমওয়ার্ক করতে সাহায্য করে এবং সব কাজে আমাকে ভালোবাসে গাইড করে। আমার মা আমার প্রতিটি কাজে যদি আমাকে সমর্থন করেন। আমি আমার মাকে ভালোবাসি ও ঈশ্বরের কাছে তার দীর্ঘায়ু কামনা করি।

মা ভাষায় বর্ণনা করা যাবেও না। আমার জীবনে, আমার মা হলেন সে ব্যক্তি যিনি আমার হৃদয় সবচেয়ে অনেক বেশি দখল করেন। তিনি সবসময় আমার জীবন গঠন এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে. আমার মা একজন সুন্দরী মহিলা যিনি এই আমার জীবনের প্রতিটি পদে আমার যত্ন নেন।

সূর্য ওঠার আগেই তার ব্যস্ত সময়সূচী পরিবর্তন শুরু হয়। সে শুধু আমাদের জন্য খাবার তৈরি করে না, আমার দৈনন্দিন কাজে সাহায্য করে। যখন আমার পড়ালেখায় কোনো অসুবিধা হয় আমার মা শিক্ষক এর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন এবং আমার সমস্যা সমাধান করেন, আমি যখন বিরক্তই তখন আমার মা বন্ধুর ভূমিকায় অভিনয় করেন এবং আমার সাথে অভিনয় করেন

কঠিন পরিস্থিতি সে তার মেজাজ এবং ধৈর্য হারায় না। আমার মা ও আমার মধ্যে একটি বিশেষ ভালবাসার বন্ধন রয়েছে ও আমি সর্বদা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি যে আমার মাকে চিরকাল ফিট ও সুস্থ রাখুন।

আমার মা রচনা class 5

আমার প্রিয় ব্যক্তি মা:  আমাদের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রায় যাঁকে এই আমরা সবচেয়ে বেশি সময় ধরে কাছে পাই, তিনি কিন্তু এই একজন মা । আমার বাবা আমার কাছে পরম শ্রদ্ধার পাত্র, তারপর মাকে সারাক্ষণ কাছে পাই বলে আমার আদর-আবদার- আহ্লাদ-সবই মাকে ঘিরে থাকে।

গুণাবলি : আমি আমার মা-বাবার একমাত্র এই  সন্তান। কিন্তু আমার ছয় বছর বয়স সময় বাবা চাকরিসূত্রে বিদেশে যান। তিনি বছর এমন  মাত্র এক মাসের জন্য দেশে আসেন। যদি বাবার সঙ্গে টেলিফোনে মাঝেমধ্যে কথা হয়, তবু মাকে আমি সারাক্ষণ কাছে পাই। 

মা এমনভাবে আগলে রেখে আমাকে অনেক বড় করে তুলেছেন যে, বাবার অভাব তিনি বুঝতে দেন না। তিনি একা ঘরে-বাইর এর যাবতীয় দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করে আমার কাছে দেখভাল করেন। আমার পড়াশোনার হাতে নিয়ে খড়িও মায়ের কাছেই। 

এখনো মনে পড়ে, মা আমাকে বই কিনে নিয়ে দেওয়ার আগে অক্ষর পরিচয়ের জন্য প্লাস্টিকের তৈরি বিভিন্ন রঙের বাংলা-ইংরেজি বর্ণমালা, অঙ্ক শেখানোর জন্য প্লাস্টিকের তৈরি ইংরেজি-বাংলা সংখ্যা ইত্যাদি কিনে দিতেন। ওগুলো দিয়ে খেলতেই এই আমি তিন বছর বয়সের মধ্যে সব অক্ষর-সংখ্যা চিনে ফেলি। 

তারপর মা যখন ছড়া-ছবির বই থেকে কিনে দিলেন, সেগুলো বানান করে একা একাই পড়তে পারে পারতাম । এখনো মা আমার পড়া তৈরিতে সাহায্য করেন তখন, প্রতিদিন স্কুলের ডায়েরি চেক করেন এবং প্রয়োজনে বিষয়- শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ মাধ্যমে করেন। এসব দায়িত্ব পালনের এক দিনের জন্যও উপকারী তাঁর শৈথিল্য দেখি নি। 

এ কারণে আমি কখনো পড়ালেখায় ফাঁকি দিয়ে দিতে পারি নি। আমার লেখাপড়ার প্রতি দায়িত্ব পালন ছাড়া মা আমাকে থেকে সংসারের আরও যে-সব দায়িত্ব পালন করেন, তা উল্লেখ না করে করলে আমার মায়ে গুণাবলির প্রকাশ সম্পূর্ণ থেকে ও যায়। আমার কোনো ভাইবোন না এই থাকলেও আমাদের পরিবারে আমার দাদা-দাদি ও থাকেন। 

আমার মা নিজে তাঁদের সেবাযত্ন করেন ও আমাকেও তাঁদের সেবাযত্ন করতে শিখিয়েছেন ‘ আমাদের সবাইকে খাই তারপর তিনি খেতে বসেন। আমি যাতে অসুস্থ হয়ে না হয় । সে জন্য তিনি সবসময় স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশন ও করেন। আবার আর অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত নিরাময়ের জন্য সবরকম বিধিব্যবস্থা ও করেন। 

প্রিয় : আমার মা একজন দায়িত্বশীলা এক মহিলা। তিনি সুচারুভাবে হাসিমুখে সব গুলা দায়দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। কোনো দিন তাঁকে কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ অস্বীকার করতে শুনি নি। নিজের সুখ-সুবিধার চেয়ে অন্যের সুখ-সুবিধা দিকে দৃষ্টি আমাকে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধশীল এই করে তোলে। 

তিনি আমাকে সবসময় ভালো মানুষ হয়ে উঠতে ওঠার শিক্ষা দেন। আমার পড়ালেখায় যাতে করে একঘেয়েমি না আসে, সে জন্য আমার পছন্দের গল্পের বইগুলো পড়া কিনে দেন। এসব কারণে তিনি আমার প্রিয় ও আদর্শ মা বলে হয়ে উঠেছেন।

উপসংহার শিশুকাল থেকে মা আমাকে পরম যত্নে যেভাবে বড় বেশি করে তুলেছেন, তাঁর প্রতিদিনের কাজকর্মে সেটি হল আমি অনুভব করি। তাই আমিও যতটা পারি মায়ের কাজকর্মে সাফল্য সাহায্য করি। তিনি যাতে আমার কোনো কথায়-আচরণে কষ্ট করে না পান, সে জন্য সচেতন থাকি। আমি বিশ্বাস করি, মায়ের কথামতো চললে আর একদিন সত্যিকারের মানুষ হব ।

আমার মা রচনা class 4

আমার মা

সূচনা: ‘মা’ শব্দটি আমার কাছে খুব প্রিয়। যখন আমি কেবল শিশু ছিলাম তখন তিনি আমাকে স্তন্য এই পান করিয়েছেন ও এভাবে আমি বড় হয়ে উঠেছি। আমার সকল স্বপ্ন দেখি তাঁকে নিয়ে। যে-কোনো বিপদে তিনি আমার একটা আশ্রয়স্থান।

আমার ব্যস্ততম মা: আমার মা একজন ব্যক্তির গৃহিণী। তিনি আমাদের সেবাযত্ন এই করেন। তিনি নিজেই আমাদের পোশাক পরে তৈরি করে দেন। তিনি আমাদের দেখাশুনা, ও কাপড় ধোয়া, ঘর পরিষ্কার প্রভৃতি এবং  কাজ করে থাকেন। সংসার রক্ষণাবেক্ষণের এমন ব্যাপারে তার ভূমিকা খুবই প্রশংসনীয়। স্বাস্থ্য বিজ্ঞান সম্পর্কে অবগত তিনি খুবই সচেতন। আমরা যখন অসুস্থ হই তখন তিনি বলেন আমাদের সেবা করেন।

আমাদের সবার জীবনে সবচেয়ে কাছের ও সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যে মানুষটির স্থান সে হল মা। মা প্রত্যেক সন্তানের কাছেই সবচেয়ে এবং নিরাপদ এবং শান্তির আশ্রয়। আমরা আমাদের সুখ দুঃখ, অভাব অভিযোগ সব মায়ের কাছে চলে জানাই।

বাবা যেমন বাড়ির বাইরের দিকটা সামলে এমন  পরিবারকে টেনে নিয়ে যান তেমনই মা ঘরের সমস্ত কাজ সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত সম্পন্ন করে পরিবারকে ভেতর থেকে এই পুষ্টি যোগান। মা শুধু আমারই নয়, এই সমগ্র পরিবারের ভালো-মন্দের খেয়াল রাখতে । সেজন্য আমি আমার মাকে সবথেকে বড় বেশি ভালোবাসি।

আমার অনেক বন্ধুর মা আবার ঘরের কোণে কাজ করবার সঙ্গে সঙ্গে বাইরে চাকরি করেন। কিন্তু আমার মা আমাদের বড় বেশি পরিবারকে সারাদিন সামলে রাখতে রাখতে পারেন ক্লান্ত হয়ে পড়ে। মা আমাদের সবাই কে যেমন স্নেহ করে এবং ভালোবাসে, তেমন আমরা সবাই মাকে ভীষণ ভালোবাসি। সেই ভালোবাসা থেকেই আজ মায়ের বিষয়ে রচনা লিখছি।

আমার বিষণ্ন মা: আমার মা একজন স্নাতক এমন  ডিগ্রিধারিণী। এমনকি তখন থেকেই তিনি স্পষ্টত এই একজন গৃহিণী। তিনি যে-কোনো মর্যাদাপূর্ণ চাকরি করতে হবে সক্ষম। কিন্তু আমার পিতা তাঁকে বাইর এর  কাজ-কর্ম করা থেকে বিরত থাকা রেখেছেন। পিতার রক্ষণশীল মনোভাবের জন্য এই মা তার প্রতি ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর পক্ষে এমন কিছুই করার ছিল না। এমনকি আমার মা পিতার অবিচারের এই কথা ভুলতে পারে নি।

আমার মা পুরোদস্তুর একজন মানুষ গৃহকত্রী। বাড়িতে সবার আগে ঘুম থেকে উঠেই ভাঙ্গে মায়ের। খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে মা আমাকে প্রথমে ঠাকুর পুজো করে। এরপর থেকে সারাদিন মায়ের কাছে কাটে প্রচণ্ড ব্যস্ততার মধ্যে। ঠাকুর পুজো করে মা রান্না করার ঘরে প্রবেশ করে। সেখানে প্রথমে বাবার এবং ভালোবাসে আমার জন্য সকালের খাবার বানায়।

তারপর আমি এবং বাবা ঘুম থেকে উঠলে আমাকে বলতে সকালের দুধ এবং বাবা, ঠাকুরমা এবং দাদুকে চা দিয়ে মা আমাকে সেই সময়টুকু আমাদের সকলের সাথে খানিকক্ষণ বিশ্রাম গল্প করে। চা খাওয়া হয়ে গেলে আবার রান্নাঘরে গিয়ে ফিরে যায়।  ইতিমধ্যে বাবা স্নান করে থাকে অফিসের জন্য তৈরি হন এবং আমি স্নান করবার পর আর মা আমাকে স্কুলে যাবার জন্য তৈরি করে দেন।

আমি এবং বাবা একসাথে মায়ের হাতে তৈরি করা খাবার খেয়ে স্কুলে চলে যাই। আমি ও বাবা বেরিয়ে যাবার পর মা বলে রান্নাঘরের কাজ সেরে, আমাদের ঘর গোছগাছ করে খানিকক্ষণ একটু বিশ্রাম করে নেয়।

আমার মা কাপড়ের ওপর খুব সুন্দর নকশা তৈরি করতে পারেন। দুপুরবেলা খাওয়া-দাওয়ার পর মায়ের অবসর সময় কাটে কাঁথা কিংবা কাপড়ের উপর নকশা করে। বিকেল বেলা মা আমাদের তাই ছাদে বাগান পরিচর্যা করে আমি স্কুল থেকে ফিরে এসে আসার পর আমায় খেতে দেয়। এরপর সন্ধ্যেবেলা বাবা ফিরে এসে এলে সবাইকে চা জলখাবার করে দিয়ে আমার পড়াশোনায় ভালো সাহায্য করে। এইভাবে সারাদিনব্যাপী ব্যস্ততার মধ্যে নির্দিষ্ট দিয়ে মায়ের রোজকার জীবন কাটে।

সব ছেলেমেয়ের মতন আমার জীবনের প্রথম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ হল আমার মা। মাকে ছাড়া আমি একটি করে দিনও কল্পনা করতে পারিনা। সকালে ঘুম থেকে ওঠা থেকে প্রায় রাতে ঘুমোতে যাওয়া পর্যন্ত সারাদিন আমার কাটে কোন না এই কোনভাবে মায়ের সান্নিধ্যে। মা আমায় সকালবেলা স্কুলের জন্য তৈরি করে নিতে টিফিনে রোজ কিছু-না-কিছু ভাল-মন্দ খাবার বানিয়ে দেয়।

আরো পড়ুন: রচনা লেখার নিয়ম

তারপর বিকেলবেলা স্কুল থেকে ফিরে এসে আসার পর আমি আমাদের ছাদের বাগান পরিচর্যায় মাকে সাহায্য করে । মা কখনো কখনো ছুটির দিনে দুপুরবেলা এখানে আমার সঙ্গে লুডো, দাবা বা ক্যারাম খেলে। সন্ধ্যেবেলা যখন মা আমায় পড়াতে হবে বসে তখন মাঝে মধ্যে কথা না শুনলে বকাঝকা করে বটে কিন্তু কিছুক্ষণ এর পরেই আদরে ভরিয়ে দেয়। তারপর রাত্রিবেলা মায়ের কাছে হাতে খাওয়া-দাওয়া করে মায়ের কাছে না শুলে আমার একটা দিনও কোনদিন ঘুম আসেনা।

একবার শীতকালের শুরুতে আমার মরশুমি জ্বর হলে এসেছিল। সাথে প্রচন্ড হাঁচি ও কাশি ও হচ্ছিল। রাতের দিকে জ্বর বাড়তে বাড়তে থাকে থার্মোমিটারে ১০২ তাপমাত্রা উঠলো। আমার মনে আছে মা সেদিন রাতে এমন  সারারাত জেগে আমার মাথার কাছে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েছিল।

উপসংহার: মা এবং মাতৃভূমি স্বর্গ থেকে উত্তম। আমার মা-ই হচ্ছে এই  আমার জীবন। আমি আমার মাকে ছাড়া কিছু চিন্তা করে এই পারি না। আমি আমার জীবনের চেয়ে মাকে আমি বেশি ভালোবাসি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button